নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া ইউনিয়নের লুটিয়া বাজারে অফিস বানিয়ে লক্ষী ভান্ডার সমিতির নাম করে এক কথিত সমিতি এর সভাপতি সেজে সম্রাট ঘোষ, সাধারণ মানুষদের বসত ঘর, ও ডিপ টিউবওয়েল, দেওয়ার নাম করে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি টাকা হয়ে গেছে উধাও, থানা ও সাংবাদিকদের পিছনে ঘুরছে সাধারন জনগন। সহযোগী হিসাবে ছিলেন কুমড়ি গ্রামের ছাগির মল্লিক।
উপজেলার লুটিয়া গ্রামের মৃত মনি কান্ত ঘোষ এর ছেলে সম্রাট ঘোষ, ও পাশের কুমড়ি গ্রামের ছাগির মল্লিক। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুই বছর আগে সম্রাট ঘোষ, এলাকায় সোনাদাহ্ গ্রামের ইমরান চৌধুরী, কুমড়ি গ্রামের মাজেদুল, একই গ্রামের ছাগির মল্লিক ও কোটাকোল গ্রামের বিউটি রানী মন্ডল, কে নিয়ে এই কথিত লক্ষী ভান্ডার সমিতি নাম করে নড়াইল জেলার বিভিন্ন গ্রামের সাধারণ মানুষের থেকে বসতঘর,ও ডিপ টিউবওয়েল,এবং নরমাল টিউবওয়েল দেওয়ার জন্য বসত ঘর বাবদ নগত অর্থ হাতিয়ে নেয়, কিছু এলাকায় দেওয়া হয়েছে ডিপ টিউবওয়েল, আর ওটাকেই পুঁজি করে ঐ এলাকার মানুষের থেকে টিউবওয়েল দিবে বলে হাতিয়ে নিয়েছেন নগত টাকা। স্থানীয় লুটিয়া গ্রামের ফিরোজ জানান মাঝে কোন একটা সময় কি কারণে এই সমিতি থেকে বাদ পড়ে যান ইমরান চৌধুরী,মাজেদুল,ও বিউটি রানী মন্ডল।
তখন দেখা যায়, সম্রাট ঘোষ ও ছাগির মল্লিক কে এই কথিত লক্ষী ভান্ডার সমিতিতে। এসয়ম বিভিন্ন এলাকায় খোঁজখবর নিয়ে দেখা যায়, একটি টিউবওয়েল প্রতি নেওয়া হয়েছে ১৫ হাজার টাকা থেকে ২০হাজার টাকা পর্যন্ত।
আবার অনেকের বাড়িতে বছরখানেক ধরে পড়ে আছে টিউবয়েলের পাইব, সেটা দেওয়া হয়েছে সান্তনা। আর একটা ঘর বাবদ নেওয়া হয়েছে ৫০ হাজার টাকা থেকে ১লক্ষ টাকা পর্যন্ত। কোটাকোল গ্রামের দুই বাড়িতে সম্রাট ঘোষ দিয়েছেন নিম্নমানের দুই গাড়ি ইট।দেড় বছর পার হলেও ওঠে নাই তাদের জমিতে ঘর। এদিকে লোহাগড়া পৌরসভা এলাকার সিংগা গ্রামে বাইজিদ সরদার,কে এক সপ্তাহের ভিতরে ডিপ টিউবওয়েল দেয়ার কথা বলে সম্রাট ঘোষ, নিয়েছেন ২০হাজার টাকা, এক বছর পার হলেও পাইনি সেই টিউবওয়েল, ও একই গ্রামের আনোয়ার শেখ কে বসত ঘর দেওয়ার কথা বলে তার থেকে নগত ১লক্ষ টাকা নিয়েছেন,এক বছর পার হলে ও তার বাড়িতে একটি ইট ও যায় নাই।
কোটাকোল ইউনিয়নের বড়দিয়া গ্রাম থেকে তিনটা টিউবওয়েল দেয়ার কথা বলে সম্রাট ঘোষ নিয়েছেন ৬০ হাজার টাকা। লোহাগড়া উপজেলার একটি এলাকায় অনুসন্ধানে গেলে ছাগির মল্লিক সহ সম্রাটের কিছু মেয়েলি বিষয়ের কুকীর্তি মোবাইল রেকর্ড, ও ছবি পাওয়া গেছে,তখন স্থানীয়দের সাথে কথা হলে তারা জানাই ছাগির মল্লিক,ও সম্রাট ঘোষ আমাদের এলাকায় টিউবওয়েল পুতে দিতে এসে দীর্ঘ দিন ছিলো সেই সুবাদে ওই মেয়েদের ঘর ও টিউবওয়েল দেওয়ার কথা বলে তাদের দুর্বলতা সুযোগ নেছে। এদিকে কাশিপুর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের গিলাতলা গ্রামের সাহাবুরের থেকে ২০ হাজার টাকা নিয়েছেন সম্রাট,এবং ওই এলাকার সাবেক মেম্বার ইসমাইল হোসেনের থেকে ৯ মাস আগে টিউবওয়েল দেয়ার কথা বলে সম্রাট ঘোষ নিয়েছেন ২০ হাজার টাকা, কল না পেয়ে ইসমাইল হোসেন লোহাগড়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে লোহাগড়া থানার এএসআই মিকাইল তাকে মুঠোফোনে থানায় আসতে বললে ও সম্রাট ঘোষ কোনো কর্ণপাত করে নাই। এবিষয়ে দিঘলিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা লুটিয়া গ্রামের শেখ সাগরের সাথে কথা হলে তিনি বলেন এই সম্রাট ঘোষ আমাদের জানামতে নড়াইল জেলার বিভিন্ন এলাকার মানুষের থেকে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। প্রতিদিনই দেখা যায় বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ আসে আমাদের গ্রামে সম্রাট কে খুজতে, শেখ সাগর আরো বলেন এই সম্রাট বিভিন্ন লোকের কাছে নড়াইল ২ আসনের এমপি মহোদয়ের নাম ভাঙ্গিয়েছেন, এবিষয়ে সকল ভুক্তভোগীদের সাথে কথা হলে তারা জানাই আইনের উর্ধ্বে কেউ নয় সম্রাট ঘোষ কে আটক করে আইনের মাধ্যমে আমাদের নগদ টাকাগুলো ফেরত পাওয়ার ব্যবস্থা করলে উপকৃত হবো।
এসব বিষয়ে সম্রাট ঘোষ এর সাথে মুঠোফোনে 01766560164 নাম্বারে কথা হলে তিনি বলেন আমি অসুস্থ আছি আপনাকে একটু পরে ফোন দিয়ে কথা বলব। এবং ছাগির মল্লিক এর সাথে কথা বলার জন্য 01915228899 নাম্বারে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।